মো.শিফাত মাহমুদ ফাহিম,বিশেষ প্রতিনিধি:
নওগাঁ জেলার অদূরে অবস্থিত আত্রাই উপজেলায় গত ০৫ আগস্টের পর থেকে বিদ্যুৎ গতিতে বেড়েই চলেছে চাঁদাবাজি,দখলবাজি, ছিনতাই সহ নানা ধরনের অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড।আর এগুলোর নেপথ্যে রয়েছে শেখ পরিবার।তাদের একক নেতৃত্বেই পুরো উপজেলার আনাচে কানাচে সহ সর্বত্রে চলছে অবৈধ সকল কাজ,অভিযোগ ভুক্তভোগী সহ এলাকার সাধারণ মানুষদের।
গত ১০ ডিসেম্বর আত্রাই উপজেলার ০৩ নং আহসানগঞ্জ ইউনিয়নের নিকটস্থ শুঁটকিগাছা বাজারে আনুমানিক সন্ধ্যা ৭:৩০ মিনিটে উক্ত ইউপি যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীরনগর হোসেন (৩৮) এর ওপর হামলা চালায় নওগাঁ-০৬ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী শেখ রেজাউল করিম রেজু ও তার বড় ভাই শেখ মঞ্জু’র (চেয়ারম্যান আহসানগঞ্জ ইউপি পরিষদ)। লোকজন।
ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন,আমরা উক্ত ইউপি বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ১৭ বছর আওয়ামীলীগের দ্বারা নির্যাতিত হয়ে আসছি।শুধু এখন তাদের কথাবার্তা না শোনায়, তাদের কথামত না চলায় তাদের অন্যায় অনিয়মের প্রতিবাদ করায় আমাদের লোকজনের ওপর নেক্কার জনক হামলা চালায়।তাদের হামলায় আহত হয়, মোঃ মোকছেদ আলী (৪২),মোঃ নান্টু হোসেন (২৭),মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন (৩০),মোঃ আমিনুল ইসলাম (২৬)।
তিনি আরও বলেন তারা শুধু আমাদের লোকজনের ওপর হামলা করেই ক্ষান্ত হননি। তারা আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভাঙচুর, লুটপাট চালানো শেষে আগুন দিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেয়।সেই সাথে আমার ক্যাশবক্সে থাকা ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়।আমি এখনো প্রাণ ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।তারা আমায় এখনো হত্যার হুমকি দিচ্ছে বিভিন্ন ভাবে।আমি দলের ঊর্ধ্বতন নেতাকর্মীদের কাছে তদন্ত সাপেক্ষে এসব নেক্কার জনক ঘটনার সাংগঠনিক সুষ্ঠু বিচার চাই।সেই সাথে বিচার চাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিচার বিভাগের কাছে।
এ বিষয় সহ ০৫ আগস্ট পরবর্তী আত্রাই উপজেলার চলমান বিষয় গুলো নিয়ে কথা বলা হলে,উক্ত উপজেলার সচেতন মহলের একাধিক লোকজন বলেন, ছাত্রজনতার গণ অভ্যর্থনের মধ্য দিয়ে পতন হয় হাসিনা সরকারের।বাংলার মানুষ ১ যুগের অধিক সময় আওয়ামী সরকারের নেতাকর্মীদের দ্বারা নানা ভাবে নির্যাতিত নিপীড়িত হয়ে আসছিলো।যখন বাংলার মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে যায় তখনই তারা রাজপথে নেমে এসে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতন ঘটায়।বাংলার মানুষ চায় চাঁদাবাজ, দখলবাজ,সন্ত্রাসী এদের হাত থেকে মুক্তি।
যদি বিএনপি সহ অন্যান দল গুলো আওয়ামী রূপ ধারণ করে নির্বাচনের আগেই তাহলে তাদের জবাব বাংলার মানুষ ব্যালটের মাধ্যমে দিবে।ছাত্র জনতার আন্দোলনকে পুঁজি করে গত ০৫ আগস্টের পর থেকে আত্রাই নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে শেখ পরিবারের লোকজন আর তাদের সাথে জড়িত আছে বিএনপি নামধারী সুবিধাবাদী কিছু লোকজন।তারা পুরো আত্রাই উপজেলার মাটি পার্যন্ত জ্বালিয়ে ফেলেছে ০৫ আগস্টের পর থেকে।তারা এতোটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে, তাদের হাতে তাদের দলের নেতাকর্মীরাও সুরক্ষিত না।
আমরা মনে করি বিএনপির হাই কমান্ড এর উচিত এদের বিরুদধ সাংগঠনিক ভাবে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।নয়তো আগামীতে মানুষ বিএনপিকে ঘৃণা ভরা দৃষ্টিতে দেখবে যেমনটা দেখছ আওয়ামীলীগকে।উক্ত বিষয় গুলো নিয়ে কথা বলার জন্য নওগাঁ-০৬ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী শেখ রেজাউল ইসলাম রেজুর সাথে মুঠোফোন যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে ফোন পাওয়া যায়নি।
আত্রাই উপজেলার চলমান বিষয় গুলো নিয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপির কয়জন নেতার সাথে কথা বলা হলে তারা বলেন,যদি এসব ঘটনার তথ্য প্রমাণ মিলে তাহলে আমরা অবশ্যই সাংগঠনিক ভাবে অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।কোনো অন্যায়কারী জুলুমকারী,দখলবাজ,চাঁদাবাজ এদের স্থান দলে হবে না এটি সরাসরি দলের চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ।যারা ০৫ আগস্টের পর থেকে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় এসব করে বিএনপির বদনাম করছে তাদের তথ্য আমরা প্রতিনিয়ত সংগ্রহ করছি।তাদের যথা সময়ে জবাব দেওয়া হবে।আর যারা এসব করে তারা আওয়ামিলীগের চেয়ে ও দলের বড় শত্রু।
বিঃদ্রঃ পর্ব-০১