ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:মনসুর আহাম্মেদ
উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে অব্যাহত রয়েছে শীতের তীব্রতা। সেই সঙ্গে বয়ে যাচ্ছে হিমেল হাওয়া। এ জেলায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।শীতের তীব্রতায় কাবু হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। গরম কাপড়ের অভাবে বিনিদ্র রাত কাটছে দরিদ্র, শ্রমজীবী মানুষের। বিশেষত উত্তরাঞ্চলের জনপদে শীতের কষাঘাত এবার তীব্রতর। বিকাল হতেই ঘনকুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে পুরো এলাকা। সন্ধ্যার পরেই হু হু বইতে শুরু করে ঠান্ডা বাতাস। সারাদিন সূর্যের দেখা পাওয়া ভার। সকালেও সড়ক-মহাসড়কে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে গাড়ি। হাড়কাঁপানো শীত আর ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত ঠাকুরগাঁওয়ের, অঞ্চলের ছিন্নমূল মানুষ। বাড়ছে ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা।সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জেলায় ৮ দিন ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি। দিনভর থাকছে কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ। রাস্তায় মানুষও কম। কনকনে শীতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। এদিকে চাচার লাশ দেখতে যাওয়ার পথে ভাতিজির মৃত্যু। পীরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মুক্তারুল ইসলাম মুক্তাকে (৬৫) দেখতে যাওয়ার পথে তাঁর ভাতিজা তোজ্জামিম আক্তার রেবু (৫০) বাসচাপায় এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে ও আজ শনিবার সকালে পৌর শহরের জামতলি নামক স্থানে এবং পৌর শহরের থানার গেটের সামনে দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।জেলা প্রশাসন ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে বেশকিছু স্থানে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। তবে শীত যত বাড়বে বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী দপ্তর ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে আরও বেশি পরিমাণে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে এমনটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন এ অঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষজন।