চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীর ১১ বছরের শিশুকে ১৯ বছর বয়সি দেখিয়ে জড়ানো হয় মামলায়। রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টাসহ বিভিন্ন মামলা থেকে বাদ যাননি স্কুল-কলেজের শিক্ষকরাও। মামলায় জড়িয়ে চাঁদা দাবিসহ তাদের বাসা-বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগও ওঠেছে।
না যায়, আইনের দৃষ্টিতে ১৮ বছর পর্যন্ত শিশু হিসেবে গণ্য হওয়ায় মামলায় ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া ১১ বছরের শিশু সাদের বয়স দেখানো হয় ১৯ বছর। সাদের পরিবারের অভিযোগ, শিশু সন্তানকে ফাঁসানোর পাশাপাশি ব্যবসায়ী বাবা হামিদ মোল্লার বিরুদ্ধেও দেয়া হয় একাধিক মামলা। এতেও চাঁদা না পেয়ে বাসায় গুলি চালিয়ে একাধিকবার দেয়া হয় প্রাণনাশের হুমকি।
এসব অভিযোগ টঙ্গী এলাকার জিএস স্বপনের বিরুদ্ধে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের ঘনিষ্ঠ হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে ভীতি সৃষ্টি করে চাঁদা আদায় করতেন স্বপন। ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর নতুন কৌশলে তিনি। বিভিন্ন জনকে দিয়ে মামলা করিয়ে তাতে টার্গেট করে নাম ঢুকিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন। টাকা না পেলে হুমকি ও হামলার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আর এসবের শিকার হচ্ছেন নিরীহ শিক্ষকরাও। হুমকির অডিও রেকর্ডে শোনা যায় স্বপন বলেন, ‘তোর বাড়িতে আমি আগুন ধরিয়ে দেবো
তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ সময় সংবাদের কাছে অস্বীকার করে জিএস স্বপন বলেন,
আমি চাঁদা কেন চাইবো? যিনি আমার বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন, তিনি আওয়ামী লীগের নেতা! তার বাড়িতে বৈষম্যবিরোধীরা হামলা করেছে।
মামলায় নিরপরাধ ব্যক্তিদের হয়রানি না করার কথা জানায় পুলিশ। তবে মামলা নেয়ার আগে পুলিশের প্রতি সতর্ক হওয়ার পরামর্শ আইনজীবীদের।
উত্তরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন,
এজাহার না নেয়ার আমাদের কোনো সুযোগ ছিল না। এটা আমরা তদন্ত করে যদি দেখি যে নিরপরাধ, তখন আমরা অব্যাহতি দেবো।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহাম্মদ বিন বজলুর রহমান বলেন, ‘কর্মকর্তাদের উচিত ছিল, ঘটনাগুলোর সত্যতা যাচাই করা। তারপর মামলা নেয়া।’
আইনে মিথ্যা মামলার জন্য বাদীর বিরুদ্ধে শাস্তি এবং ভুক্তভোগীর জন্য ক্ষতিপূরণের বিধান রয়েছে।