ছবি : সংগৃহীত
হঠাৎ বন্ধুর সঙ্গে দেখা তবে বন্ধুর নাম মনে নেই? কী এক বিড়ম্বনা। সকালে বাজারের তালিকাটা বা কোথায় রেখেছেন মনে করতে পারছেন না।
এটি মূলত স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার প্রবণতা। কিন্তু ইদানীং সব বয়সী মানুষই এ সমস্যার ভুক্তভোগী। মানসিক চাপ, বিশ্রামের ঘাটতি, পরিবেশগত দূষণ, ডিভাইস আসক্তি, ঘুমের অভাবসহ নানা কারণে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তবে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কয়েকটি খাবার যুক্ত করলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেসব খাদ্যর সম্পর্কে -তৈলাক্ত মাছ খেলে মস্তিষ্কের কোষ অনেক বেশি সুগঠিত ও বেশি কর্মক্ষম থাকে। তার দৈনিক একবেলাতে হলেও তৈলাক্ত মাছ খাওয়া উচিত। এ ধরনের মাছে থাকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, যা মস্তিষ্ক সচল রাখার পাশাপাশি সামগ্রিকভাবে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ই এবং জিঙ্কসহ পুষ্টিতে সমৃদ্ধ এ ড্রাই ফ্রুটস, যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তাই নিয়মিত আখরোট, কাজুবাদাম, চিনাবাদাম, কিসমিস খেতে পারেন। অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এ ড্রাই ফ্রুট মস্তিষ্ককে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং ফ্রি র্যাডিক্যাল ড্যামেজ থেকে রক্ষা করে। এতে আরও রয়েছে উচ্চমাত্রায় ম্যাগনেসিয়াম, যা মস্তিষ্ককে সঠিকভাবে কাজ করতে সক্রিয় করে।
পালংশাক
পালংশাকে ভিটামিন কে, ই ও ফোলেট থাকে। পালংশাকের মতো গাঢ় সবুজ শাকসবজি ব্রেনের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে দারুণ কার্যকরী। এই শাকের ভিটামিন ই মস্তিষ্কে বয়সের প্রভাব ও স্মৃতিভ্রংশ কমাতে বা দূর করতে সাহায্য করে।
আপেল
ডাক্তাররা প্রতিদিন একটি করে আপেল খাওয়ার পরামর্শ দেন। কারণ আপেলে রয়েছে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, যা আমাদের মস্তিষ্কের নিউরনগুলো বেশিসময় কর্মক্ষম রাখে। জানেন কী, আপেল খেলে মাথাব্যথার হারও কমে।
ডার্ক চকলেট
আপনি কি জানেন ডার্ক চকলেট খেলে বাড়ে স্মৃতি? ডার্ক চকলেটের মধ্যে থাকা কোকো মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। কোকোর মধ্যে থাকে প্রচুর মাত্রায় ফ্ল্যাভোনয়েড যা মস্তিষ্কে রক্তের সঞ্চালনা বাড়িয়ে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা চকলেট বেশি খান তাদের স্মৃতিশক্তি চকলেট কম খাওয়া মানুষের তুলনায় বেশি।