
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়া থানা এলাকায় বিএনপির নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময় বালুর ঘাট, রামনাথ হাট ডাক, রুহিয়া ডিগ্রি কলেজের সম্পত্তি, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের স্থানীয় সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনের অটো রাইচ মিলের বন্ধকৃত শোটার চালু করা, স্থানীয় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের জমি নিয়ে বিরোধসহ সদ্য পদত্যাগকৃত ২০ নং রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাইন উদ্দিনের ফেসবুকে বক্তব্যের বিষয় বক্তব্য দেওয়া হয়। সোমবার (২৮ জুলাই) সকাল ১১:৩০ মিনিটে রুহিয়া থানা বিএনপির কার্যালয় সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। রুহিয়া থানা বিএনপি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বালুর ঘাট,অটো রাইচ মিলের শোটার চালুর বিষয় থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জহিরুল ইসলাম রিপন বলেন, একটি ইন্ডাস্ট্রি দেশের সম্পদ, তেমনি এলাকার হাজারো মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে এখন যদি সেটা বন্ধ থাকে তাহলে এলাকার অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হবে। তাই জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আনছারুল হক এবং জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে শোটার চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বালুর ঘাট ও রামনাথ হাট টেন্ডার নিয়ে থানা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয় তিনি বলেন বালুর ঘাট, রামনাথ হাট টেন্ডার ও বালুর ঘাটে রুহিয়া থানা বিএনপির সভাপতি ও আমি সাধারণ সম্পাদক কোন ভাবেই জরিত নই।
রুহিয়া ডিগ্রি কলেজের কৃষি জমি টেন্ডারের বিষয়ে তিনি বলেন, রুহিয়া ডিগ্রি কলেজের সম্পত্তি টেন্ডার আহ্বানসহ যাবতীয় কার্যক্রম সম্পাদন করেন প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি ও জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মোঃ আনছারুল হক এখানে কোন স্বার্থান্বেষী মহল আমাকে জরিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে আমাকে হেয় পতিপন্ন করার চেষ্টা মাত্র।
খৃষ্টান সম্প্রদায়ের জমির ঘটনা বিষয় তিনি বলেন, খৃষ্টান সম্প্রদায়ের জমির বিষয়ে বিররোধ বহুদিন ধরে চলছে কিন্তু দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, এ বিষয় আমি ও থানা বিএনপির কেউ জরিত না থাকলেও আমাদের জরিয়ে মিথ্যা এবং বানোয়াট অপ্রচার চালায় একটি মহল।
সম্প্রতি ২০ নং রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের যুবদলের সদ্য পদত্যাগকৃত সাধারণ সম্পাদক মাইন উদ্দিন ফেসবুকে পদত্যাগের সময় থানা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককের বিরুদ্ধে বক্তব্যের বিষয় জহিরুল ইসলাম রিপন বলেন, রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাইন উদ্দিনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিন ধরে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, দখলবাজ, অসহায় মানুষকে মারপিট, অন্যের গাছ কর্তনসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। তিনি আরও বলেন, এসকল বিষয় জেলা যুবদলের নেতৃবৃন্দকে অবগত করলে তারা রুহিয়া থানা যুবদলের সভাপতি মোঃ আনার আলী এবং সাধারণ সম্পাদক আলমকে বহিষ্কারের নির্দেশনা দেন। কিন্তু তারা সেই মাইন উদ্দিনকে বহিষ্কার করতে পারেনি, কেন কি কারণে বহিষ্কার করতে পারেনি সেটা আমার বোধগম্য হচ্ছে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রুহিয়া থানা বিএনপির সভাপতি মো: আব্দুল জব্বার (সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান), যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মো: মকবুল হোসেন, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আলহাজ্জ ইদ্রিস আলী, ১নং রুহিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আব্দুল হক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।