দুটি কিডনিই ড্যামেজ অসহায় আব্দুর রহিমের: আর্থিক সহায়তার আবেদন, মা-বাবা ও স্ত্রী-সন্তানের জন্য বেঁচে থাকার আকুতি

হরিপুর (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি: দুই কিডনি একেবারে ড্যামেজ হয়ে গেছে আব্দুর রহিমের (৩৫)। সময় যতই যাচ্ছে মৃত্যুর ঝুঁকি ততই বাড়ছে রহিমের। টাকার অভাবে চিকিৎসা নিতে পারছেন না তিনি। ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার ২ নং আমগাঁও ইউনিয়নের খামার তালতলা গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে আব্দুর রহিম (৩৫)। দুটি কিডনিই ড্যামেজ অসহায় আব্দুর রহিম মা-বাবা ও স্ত্রী-সন্তানের জন্য বেঁচে থাকার আকুতি। তাকে বাচাতে হলে অর্থের প্রয়োজন। সমাজের সকল শ্রেণীর পেশার মানুষের কাছে সাহায্যের জন‍্য আকুল আবেদন জানিয়েছে রহিম।

চিকিৎসক বলেছেন, দ্রুত তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। কিডনি প্রতিস্থাপন কর‍তে যদিও দেরি হচ্ছে তবে, সময়মত তার কিডনি ডায়ালাইসিস করতে না পারলে বেঁচে থাকার সম্ভাবনাই কম। সে ক্ষেত্রে তার কিডনি নিয়মিত ডায়ালাইসিস কিংবা  পরিবর্তন করার কোন বিকল্প নেই। 

বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান আব্দুর রহিম (৩৫) পেশায় একজন রাজ মিস্ত্রী‌।

২০০৮ সালে আব্দুর রহিম বিয়ে পিড়িতে বসে।

দাম্পত্য জীবনে তার তিন সন্তান রয়েছে। প্রথম সন্তান মেয়ে, এরপর এক ছেলে এবং শেষের টা মেয়ে। বাবা-মা, স্বামী-স্ত্রী এবং তিন সন্তানসহ সাত সদস্যের পরিবার নিয়ে মোটামুটি ডাল-ভাত খেয়ে ভালোই চলছিলো। এরই মধ্যে হঠ‍্যাৎ করে আব্দুর রহিমের স্ত্রী মোছাঃ পারভিন আক্তার অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে দিনাজপুরে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তার দেওয়া বিভিন্ন পরিক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা যায় তার স্ত্রীর পিত্ত থলিতে পাথর হয়েছে। পরে দিনাজপুরে এক প্রাইভেট ক্লিনিকে অপারেশন করা হয়। চিকিৎসা শেষে স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। বাসায় নিয়ে আসার কয়েকদিন পর  আব্দুর রহিম নিজেই হঠ‍্যাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন । এরপর আব্দুর রহিমকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন‍্য নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। পরে পরীক্ষার কাগজপত্র দেখে ডাক্তার বলে তার দুইটি কিডনি ড্যামেজ হয়ে গেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে। না হলে দিনদিন তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকবে। এমনকি মারা যেতেও পারে। শারীরিক কিছুটা ভালো করার জন্য ধার-দেনা করে চিকিৎসার জন‍্য ৭০ হাজার টাকার মত খরচ করে।

অর্থের অভাবে চিকিৎসা চালাতে না পেরে অসুস্থ অবস্থায় বাসায় ফিরে আসে। কয়েকদিন পরে আবার তাকে দিনাজপুর মেডিকেল  হাসপাতালে চিকিৎসা করার জন‍্য নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার কাগজপত্র দেখে একই কথা বলেন। ডাক্তারের কথা অনুযায়ী তার চিকিৎসার জন্য আনুমানিক ১৪ থেকে ১৫ লক্ষ টাকার দরকার।  কিন্তূ  চিকিৎসা করতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছে এই পরিবারটি। বর্তমানে সাত সদস্যের পরিবারটির একমাত্র উপার্জনকারী আব্দুর রহিম অসুস্থ থাকায় পরিবারটি ঠিকমত খাওয়া দাওয়া হচ্ছে না। ছেলের দূর্বস্থায় বৃদ্ধ বাবা এই বয়সে অন‍্যের বাড়িতে কামলা খেটে যা জোরগার করছে এতে কোনো রকমে একবেলা দু-বেলা খেয়ে, না খেয়ে দিন যাপন করতে হচ্ছে। আব্দুর রহিমের পরিবারের বর্তমানে সংসার চালানোই কষ্ট হয়ে পড়েছে। কিভাবে চালাবে ছেলের চিকিৎসার খরচ। ছেলেকে বাচাতে আব্দুর রহিমের বাবা আজিজুর রহমান মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আব্দুর রহিমকে বাচাতে সমাজের বিত্তবানরা যদি এগিয়ে আসে, তাহলে হয় তো আব্দুর রহিমের কিডনি প্রতিস্থাপন করে সুস্থ হয়ে সংসারের হাল ধরবে। আর যদি অর্থের অভাবে রহিমের চিকিৎসা না হয়, তাহলে সে হয় তো মৃত্যুর কোলে ঢুলে পড়বে। অপরদিকে সাত সদস্যের সংসারটি খাদ‍্য সংকটে পড়ে যাবে।

আসুন আমরা সবাই নিজের স্বাদ্ধ‍্যমত আব্দুর রহিমের চিকিৎসার জন‍্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিই। একটি সংসারকে ধ্বংসের হাত থেকে বাচাতে আব্দুর রহিমের চিকিৎসার জন‍্য এগিয়ে আসি। 

সরাসরি সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা মোঃ আব্দুর রহিম 

বিকাশ নাম্বার-  ০১৭৪০৩৪৭৪৭৬

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *