একসময় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে অবৈধভাবে মালামাল পারাপার ছিল যাদের একমাত্র পেশা। এখন তারাই ফিরেছেন স্বাভাবিক জীবনে। ৫০ চোরাকারবারি বিজিবির কাছে আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার কথা জানিয়েছেন।
গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার আটঘরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিজিবির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করেন ৫০ জন চোরাকারবারি।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন ৫০-বিজিবির অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল তানজীর আহম্মদ। এছাড়াও সভায় স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, হরিপুর উপজেলার গেদুরা ইউনিয়নের ৫টি গ্রামের অর্ধশতাধিক চোরাকারবারিরা আত্মসমর্পণ করেছেন। এ সময় তারা চারাকারবারী পেশা পরিত্যাগ করে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার লক্ষ্যে বিজিবির নিকট লিখিত অঙ্গীকার করেন।
ঠাকুরগাঁও-৫০ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানজীর আহম্মদ বলেন, ‘আমাদের দেশের লোক আরেক দেশে গিয়ে গ্রেপ্তার হচ্ছেন, বুলেটবিদ্ধ হয়ে লাশ হয়ে দেশে ফিরে আসছেন, আমাদের মন খারাপ হয়ে যায়। সীমান্তরক্ষী বাহিনী কখনো চায় না, সীমান্ত এলাকার মানুষ কষ্টে থাকুক। আপনাদের নিরাপত্তার জন্য বিজিবি কাজ করে যাচ্ছে। আজ ৫০ চোরাকারবারি আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার জন্য তাদের কাছে অঙ্গীকার করেছেন। তাদের পুনর্বাসনে সহায়তা করা হবে। ’
স্থানীয়রা জানান, সীমান্তবর্তী গ্রামের অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র। রোজগারের আশায় তারা অবৈধভাবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গরু থেকে শুরু করে নানা মালপত্র আনা-নেওয়া করেন। বিজিবির নানামুখী তৎপরতায় এসব মানুষ স্বাভাবিক জীবনে ফিরছেন।
গেদুরা এলাকার স্কুলশিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘চোরা কারবারী ছেড়ে বিজিবির সহায়তায় সঠিক পথে আসায় স্বস্তি ফিরেছে। তবে একেবারে চোরাচালান বন্ধে সরকারকে প্রান্তিক নারী-পুরুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন করতে হবে।’