বিমানের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে কিছু এজেন্সি ও কালোবাজারিরা এই সংকট সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ছবি: সংগৃহীত
পবিত্র ওমরাহ পালনের উদ্দেশে সৌদি আরব যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হাজারো বাংলাদেশি এখন চরম সংকটে আছেন। বিমানের টিকিটের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি আর কালোবাজারি সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে ওমরাহ যাত্রীদের স্বপ্নভঙ্গ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
ওমরাহ ছাড়াও সৌদিগামী সাধারণ যাত্রীদের টিকেটেরও একই অবস্থা। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন সৌদি আরবে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর সৌদি আরবে পবিত্র ওমরা হজ পালনে যান অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসল্লি। এবার টিকিটের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে। বিমানের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে কিছু এজেন্সি ও কালোবাজারিরা এই সংকট সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিমানের অফিসে ধরনা দিয়েও সমাধান পাননি বলে জানান ভুক্তভোগীরা। তবে বেশি টাকা দিলে নির্দিষ্ট কিছু এজেন্সির মাধ্যমে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে বলেও জানান অনেকে।
সৌদি আরবে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরাও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তাদের পরিবার-পরিজনকে ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে নেয়ার ইচ্ছা থাকলেও অস্বাভাবিক ব্যয়বৃদ্ধির কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান কেউ কেউ।
সৌদি প্রবাসীরা জানান, তারা পরিবারের সদস্যদের ওমরাহ পালন করতে সৌদ আরবে আনতে চাইলেও টিকিটের কালোবাজারি এবং টিকিটের বাড়তি দামের কারণে নিতে পারছে না। সরকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে এই সিন্ডিকেট ভাঙার দাবি জানিয়েছেন তারা।
এদিকে বাংলাদেশ বিমান ছাড়াও বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোতেও যাত্রীর নাম বা পাসপোর্ট নম্বর ছাড়াই টিকিট ব্লক করে রাখা হচ্ছে। এতে টিকিটের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। এতেও সাধারণ যাত্রীদের টিকিট কিনতে গুণতে হচ্ছে বাড়তি ১৭ থেকে ২০ হাজার টাকা।
সৌদি প্রবাসীদের দাবি, সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে সাধারণ মানুষের ওমরাহ পালন করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে।