হরিপুরে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে কোচিং শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

হরিপুর (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে ৫ম শ্রেনীর ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ এনে সমির উদ্দিন নামে এক কোচিং শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রবিবার (৩আগষ্ট) সকালে হরিপুর থানায় মামলা করা হয়েছে। 

সমির উদ্দিন হরিপুর উপজেলার খোলড়া গ্রামের সাজেমানের ছেলে এবং বটতলী বিদ্যাবাড়ী কোচিং সেন্টারের  শিক্ষক। 

মামলার বিষয়টি হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়া মন্ডল সত‍্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি আরো বলেন ভিকটিমের বাবা আইনুল হকের অভিযোগে ভিত্তিতে কোচিং শিক্ষক সমির উদ্দিনের বিরুদ্ধে রবিবার সকালে ৯ (৪)(খ) ধারায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু করে ভিকটিমের জবানবন্দির জন‍্য ঠাকুরগাঁও আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ভিকটিমের বাবা আইনুল বলেন, আমার মেয়ে ৫ম শ্রেণী ছাত্রী। পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের আশায় হরিপুর উপজেলার বটতলী বিদ্যাবাড়ি কোচিং সেন্টারে ভর্তি করি। ৩১ জুলাই আমার মেয়ে বিকালে বিদ‍্যাবাড়ি কোচিং সেন্টারে গিয়ে তার ক্লাসরুমে বইয়ের ব‍্যাগ রাখতে গেলে কোচিং সেন্টারের শিক্ষক সমির উদ্দিন আমার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে পিছন থেকে জোরপূর্বক জড়িয়ে ধরে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শ জায়গায় হাত দেয়। এসময় আমার মেয়ে চিৎকার করতে চাইলে তার মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক পড়নের পায়জামা খুলে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়।  বিষয়টি জানাজানির ভয়ে কোচিং শিক্ষক তাকে ছেড়ে দেয় এবং বিষয়টি কাউকে না বলার জন‍্য আমার মেয়েকে হুমকি দেয়। পরেরদিন (১আগষ্ট) আমার মেয়ে ঐ কোচিংয়ে যায় নাই। তার পরের দিনও (২আগষ্ট) আবারো কোচিং যেতে অস্বীকার করে। কোচিংয়ে না যাওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হলে সে তার ভাবী (আমার বড় ছেলের স্ত্রী) কে ঘটনার কথা সে খুলে বলেন।

ঘটনার বিষয়টি জানাজানি শুরু হলে বিদ্যাবাড়ি কোচিং সেন্টারে শিক্ষক সমির উদ্দিন আমার বাসায় যায় এবং আমার মেয়েকে কোচিং সেন্টারের যেতে বাদ্ধ‍্য করে। আমরা আমাদের মেয়েকে ঐ কোচিং সেন্টারে আর যেতে দিবো না বলে অস্বীকার করি। এতে কোচিং শিক্ষক সমির উদ্দিন আমাদের উপর  ক্ষিপ্ত হয়ে বলে, তোমরা যদি আমার বিরুদ্ধে কোন ধরণের ঝামেলা বা আইনগত ব‍্যবস্থা গ্রহণ করো তাহলে তোমাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলবো, এই বলে হুমকি প্রদান করে। এসময় আমার পরিবারের লোকজনের তোপের মুখে পড়ে কোচিং শিক্ষক সমির উদ্দিন ঘটনাস্থল থেকে কৌশলে দ্রত পালিয়ে যায়।

পরে আমি বাদী হয়ে কোচিং সেন্টারের শিক্ষক সমির উদ্দিনের বিরুদ্ধে হরিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করি। আমি এই লম্পট শিক্ষকের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছি।

এবিষয়ে বিদ্যাবাড়ী কোচিং সেন্টারের শিক্ষক সমির উদ্দিনের সঙ্গে  যোগাযোগের জন্য তার কোচিং সেন্টারে যাওয়া হয় কিন্তু কোচিং সেন্টার বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তার ব‍্যবহৃত 01732992031 মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *