অবশেষে কাউসারের লাশ ফেরত দিলো বিএসএফ

হরিপুর (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি :

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কুলিক নদীতে গোসল করার সময় পানির স্রোতে নিখোঁজ হওয়া কাউসারের লাশ ২৩ দিন পর ফেরত দিলো ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনী বিএসএফ।

সোমবার বিকেল ৫টার সময় সীমান্তের ৩৪৭/৩ আর পিলার এলাকায় ভারতীয় মহেশপুর ক‍্যাম্পের বিএসএফ ও রাইগঞ্জ থানার পুলিশ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের হরিপুর থানা পুলিশ ও চাপাসার বিওপির বিজিবি সদস্যদের কাছে নিহত কাউসারের লাশ ফেরত দেওয়া হয়েছে। পরে হরিপুর থানা পুলিশ নিহত পরিবারে কাছে কাউসারের লাশ হস্তান্তর করে।

oplus_0

লাশ হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় বিএসএফের এসি টি.কে সিংহ, রায়গঞ্জ থানার অন্তর্ভুক্ত ভাটল পুলিশ ফাড়ির এএসআই রক্তিম সিংহা রায়সহ অন‍্যান‍্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এবং বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন হরিপুর থানার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম, এসআই মানিক হোসেন, চাপাসার বিওপির কমান্ডার না: সুবেদার শওকত আলী সহ সঙ্গীয় ফোর্স, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান সাজাহান সরকার, ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক ও নিহত কাউসারের মা কুলসুম বেগম।

নিহত কাউসার হরিপুর উপজেলার ভাতুরিয়া রামপুর কলোনি পাড়ার রমজান আলীর ছেলে। তার আড়াই বছর ও ৪৫ দিনের দুইটি কন‍্যা সন্তান রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুর অনুমান এক টার দিকে সীমান্তের ৩৪৬/১৮ আর পিলার এলাকায় কুলিক নদীতে গোসল করার সময় নদীর জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিসের ডুবরী দল অনেক খোঁজ খুঁজি করেন। নদীতে প্রবল স্রোত থাকার তাকে খুজেঁ না পাওয়া যায় নাই। পরবর্তীতে বিজিবি সদস্যরা বিষয়টি ভারতীয় মহেশপুর বিএসএফ সদস্যদের অবহিত করেন। ৫দিন পর সীমান্তের ৩৪৭ মেইন পিলার থেকে ১০কি:মি: ভারতীয় অভ‍্যান্তরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ থানার বরবাহ স্থানে নদীতে কাউসারের লাশ স্থানীয় লোকজন দেখতে পাই।

পরবর্তীতে কাউসারের বাবা রমজান আলী পাসপোর্ট করে ভারতে গিয়ে ছেলে কাউসারের লাশ শনাক্ত করেন। এরপর ভারতীয় সকল আইন প্রক্রিয়া শেষে ২৩ দিন পর কাউসারের লাশ ফেরত দেয়।

oplus_0

হরিপুর থানার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম ও সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান সাজাহান সরকার লাশ ফেরতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *