দ্রব্যমূল্য নিয়ে তারকাদের হতাশা, বিদ্রুপ করছেন সাধারণ মানুষ

দ্রব্যমূল্য নিয়ে তারকাদের হতাশা, বিদ্রুপ করছেন সাধারণ মানুষ

খাবারের দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে করে কিছুদিন পর মাটি দিয়ে বিস্কুট বানিয়ে খেতে হবে, নিজের ফেসবুক পোস্টে এভাবেই হতাশা ঝেড়েছেন অভিনেত্রী অহনা রহমান। রোববার সন্ধ্যায় এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে অহনা লিখেছেন, অফার ভালো, কিন্তু সবসময় তো আর মাংস খেতে ভালো লাগবে না। খাবারের দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে করে কিছুদিন পর মাটি দিয়ে বিস্কুট বানিয়ে খেতে হবে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে তুমি ভালো রাখো।

দ্রব্যমূল্য নিয়ে রোববার পোস্ট দিয়েছেন অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমকও। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে সবজির দাম কমানো কঠিন। একই দিনে অভিনেত্রীদের এমন পোস্ট দেখে তারকাদের টাইমলাইনে একটু বাড়তি নজর দিয়েছেন নেটিজেনরা। দুই তারকার পোস্টের নিচেই এসেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

নেটিজেনদের কেউ কেউ ভাবেন, শোবিজ তারকাদের উপার্জন অনেক। ফলে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে তাদের নাজেহাল হতে হবে না। সেই ভাবনা থেকেই অহনার পোস্টে একজন মন্তব্য করেছেন, ইনকাম তো কম করেন না, তাহলে দাম নিয়ে ভাবনা কেন? আরেকজন লিখেছেন, সম্মান করি আপনাকে। সেই জায়গাটা নষ্ট না করার অনুরোধ করছি। গতবছর এ সময়ে ১২০০ টাকায় কাঁচামরিচ এবং ২০০ টাকায় পেঁয়াজ কিনে খাওয়া জাতি আমরা। তখন আপনাদের অসুবিধা হয়নি, এখন কেন এত অসুবিধা হচ্ছে আমাদের?

অহনার পোস্টে আসা সব মন্তব্যের রিপ্লাই না দিলেও কয়েকটির জবাব দিয়েছেন অভিনেত্রী। যেমন, অভিনেত্রীদের উপার্জনের বিষয়ে আসা মন্তব্যের উত্তরে অহনা লিখেছেন, যাদের ইনকাম কম তাদের নিয়ে এই ভাবনা।

দ্রব্যমূল্য নিয়ে পোস্ট করে নেতিবাচক মন্তব্যের শিকার হয়েছেন অভিনেত্রী চমকও। স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে সবজির দাম কমানো কঠিন—এমন পোস্ট দিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরব ছিলেন এই অভিনেত্রী। তাই তার দিকে কটাক্ষের তীর এসেছে একটু বেশিই। যেমন, চমকের পোস্টে একজন মন্তব্য করেছেন, তিন বেলা স্বাধীনতা খাও। আরেকজন লিখেছেন, এত তাড়াতাড়ি লাল স্বাধীনতার স্বাদ মিটে গেছে?

একই দিনে রহস্যময় একটি পোস্ট দিয়েছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়াও। নেটিজেনরা ভেবে নিয়েছেন ওই পোস্টের মাধ্যমে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে বিদ্রুপ করছেন অভিনেত্রী। রোববার ফারিয়া তার পোস্টে লিখেছেন, অনেক বড় গলায় অনেক কথা বলেছিলাম। বন্ধু-বান্ধবদের সাথে প্রচুর ঝগড়া করেছিলাম। বলছিল দেখিস। দেখতেছি। হতাশ হলেও বলা যাবে না হতাশ, এটাই সবচেয়ে বড় হতাশা!

এই অভিনেত্রীর পোস্টের মন্তব্যের ঘরেও এসেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। একজন লিখেছেন, আগে যারা গণতন্ত্রের বাণী শুনিয়েছেন, এখন তারা তামাশা দেখছে, এর মাঝে আপনিও একজন। মূলত শনিবার চট্টগ্রামে একটি শোরুম উদ্বোধনে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। কিন্তু তাওহীদি জনতা ওই অনুষ্ঠান পণ্ড করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। প্রতিবাদী একটি ব্যানারও ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে। এরপরই অহনা, চমক ও শবনম ফারিয়াকে এমন পোস্ট দিতে দেখা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *