ইসরায়েলে রকেট হামলা চলছেই, আতঙ্কে বাসিন্দারা

রকেট বিস্ফোরণে ইসরায়েলের একটি শহরে আগুন জ্বলছে। ছবি : সংগৃহীত

ইসরায়েলে একের পর এক রকেট হামলা অব্যাহত রেখেছে লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদল হিজবুল্লাহ। সর্বশেষ কয়েকটি হামলায় ইসরায়েলজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠছে বিভিন্ন শহর। কোথাও কোথাও আগুন লেগে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যাচ্ছে।

আনাদোলু এজেন্সি, দ্য টাইমস অব ইসরায়েল, আলজাজিরার মতো সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, হঠাৎ ইসরায়েলে সাইরেন বেজে উঠছে। সক্রিয় হয়ে উঠছে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। লেবানন থেকে ছোড়া রকেট বেশিরভাগ আকাশেই ধ্বংস করা গেলেও কিছু ভূমিতে আঘাত হানছে। এতে আতঙ্কে দিন পার করছেন বাসিন্দারা।

সর্বশেষ মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী লেবানন থেকে পাঁচটি প্রজেক্টাইল ও ১০টি রকেট ছোড়ার খবর দিয়েছে। বৃহত্তর তেল আবিব এলাকার ড্যান, শ্যারন এবং মেনাশে এলাকায় এ হামলা হয়। এ সময় সাইরেন বেজে উঠে, সক্রিয় হয় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এর ফলে লেবানন থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ছুটে আসা কিছু রকেট শনাক্ত করে আকাশেই ধ্বংস করা হয়। আর কিছু ভূমিতে আঘাত হানে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আরও জানিয়েছে, লেবানন থেকে আপার গ্যালিলের দিকেও ১০টি রকেট ছোড়া হয়েছিল। যার মধ্যে কয়েকটি আটকানো গেলেও অন্যগুলো খোলা জায়গায় পড়ে।

এর আগে গত সোমবার রাতে লেবানন থেকে একের পর এক রকেট ছোড়া শুরু হয়। একটি রকেট তেলআবিবের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় আঘাত হানে। এতে সেখানে ভবনে আগুন ধরে যায় এবং এক নারী আহত হন। এ ছাড়া আহত ১০ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে লেবাননের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনা এগিয়ে চলছে। দেশটিতে যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের এ প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহ।

লেবাননের এক শীর্ষ কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, হিজবুল্লাহ ও লেবানন ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে মার্কিন প্রস্তাবে রাজি হয়েছে। এছাড়া তারা কিছু বিষয়ে মন্তব্য করেছে। যুদ্ধবিরতিতে এখনো পর্যন্ত এটি হলো সবচেয়ে সফল প্রচেষ্টা।

পার্লামেন্টের স্পিকার নাবিহ বেরির সহকারী আলি হাসান খলিল বলেন, লেবানন সোমবার মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তাদের বক্তব্য লিখিত আকারে উপস্থাপন করেছে। আলোচনা চালিয়ে যেতে হোয়াইট হাউসের দূত আমোস হোচস্টেইন বৈরুতে যাচ্ছেন।

লেবাননের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মতির কথা জানানো হলেও এ বিষয়ে ইসরায়েলের তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *