পীরগঞ্জে শিক্ষককের বিদায় সংবর্ধনা

মনসুর আহাম্মেদ ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁয়ের পীরগঞ্জ মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল ওহাবকে আবসর জনিত বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হবে। রবিবার দুপুরে বিদ্যালয় প্রঙ্গনে এ সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়। সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাসিমুল বারির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন, উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাকটর ফজলুল হক, পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি জয়নাল আবেদিন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক নসরতে খোদা রানা, বিদায়ী শিক্ষক আব্দুল ওহাব, বিদায়ী শিক্ষকের সহধর্মিনী নার্গিস আকতার, সহকারী শিক্ষক রাজিউর রহমান রাজা প্রমূখ। এ সময় শিক্ষক অভিভাবক সহ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
পীরগঞ্জে জাল সনদ দিয়ে শিক্ষক নিয়োগ লাভের অভিযোগ ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে
ম্যানেজিং কমিটিকে হাত করে জাল সনদ দিয়ে সহকারি শিক্ষক পদে নিয়োগ নিয়ে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলার কাস্তোর উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ের সহকারি শিক্ষক আইরিন পারভীনের বিরুদ্ধে। শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের কাজগপত্র পর্যালোচনা শেষে জাল সনদ দিয়ে নিয়োগ নেওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে ওই শিক্ষিকার বেতন বন্ধ সহ বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরেরমহাপরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আব্দুল বাসেদ
নামে ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির একজন সদস্য সহ দুই ব্যক্তি।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে লিখিত
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কাস্তোর উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ও তথ্য
প্রযুক্তি শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত ২০০৪ সালের ৩ এপ্রিল দিনাজপুর
থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে
উল্লেখ করা হয় প্রার্থীকে ¯œাতক ডিগ্রী সহ নট্রামস থেকে
কম্পিউটার পাশ হতে হবে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর বিদ্যালয়ের তৎকালীন
প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির যোগসাজসে একই পদে ওই
শিক্ষিকা তার দুই বোন সহ তিনজনের আবেদন করেন। বিজ্ঞপ্তিতে
উল্লেখিত নট্রামস্ কর্তৃক কম্পিউটার প্রশিক্ষণ থাকার কথা
থাকলেও তিনি বিসিই রংপুর যুব উন্নয়ন সংস্থা থেকে কম্পিউটার
প্রশিক্ষণ সনদ জোগাড় করে নিয়োগ সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে
চাকুরি নেন। বাস্তবে তিনি কম্পিউটার ব্যবহার জানেন না। নিয়োগ
সংক্রান্ত কাগজপত্রে ত্রæটি থাকলেও প্রধান শিক্ষক সহ বিভিন্ন দপ্তরকে
ম্যানেজ করে তিনি এমপিওভূক্ত হন। সম্প্রতি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং
কমিটির এক সভায় ওই শিক্ষকের নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্র যাচাই
বাচাই করা হয়। এতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সনদ জালিয়াতির বিষয়টি
ধরা পড়লে ওই শিক্ষিকার বেতন বন্ধ সহ বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে
গত ৩ নভেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের
মহাপরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ বিষয়ে সহকারি শিক্ষক আইরিন পারভীন জানান, তিনি
সঠিক কাগজপত্র দিয়েই নিয়োগ নিয়েছেন এবং এমপিওভূক্ত
হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সঠিক নয়।
এ বিষয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় কাস্তোর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান
শিক্ষক রেখা রাণী রায়য়ের কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাওয়া হলেতিনি জানান, এখনো তিনি সম্পূর্ণ দায়িত্ব পাননি। তাছাড়া তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *