ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দোকানে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাট এবং অগ্নিদগ্ধ হয়ে চারজন নিহত হওয়ার অভিযোগে মামলার আসামি ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাবেক এমপি মাজহারুল ইসলাম সুজন ও জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দত্তকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার (৩ নভেম্বর ) সকালে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল আদালতে তোলা হলে বিচারক রমেশ কুমার দাগা এ রায় দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁওয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দোকানে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর-লুটপাট ও অগ্নিদগ্ধ হয়ে চারজন নিহতের ঘটনায় সাবেক পানি সম্পদমন্ত্রী ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সাবেক এমপি এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাবেক এমপি মাজহারুল ইসলাম সুজন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্টো ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অরুণাংশ দত্ত টিটোসহ মামলার এজাহারে ৯১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন: জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল, সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দত্ত সমীর, রুহিয়া থানার আওয়ামী লীগের সভাপতি পার্থ সারথী সেন, সদর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আকরাম, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আসলাম জুয়েল, রুহিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ (চিকন বাবু), সদর উপজেলা বেগুনবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বনি আমিন, ছাত্রলীগ নেতা রয়েল বড়ুয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নাজমুল হুদা শাহ্ অ্যাপোলো, পৌর কাউন্সিলর একরামুদৌল্লা, যুবলীগ নেতা ন্যাড়া সোহেল, রাজাগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খাদেমুল ইসলাম, ভানোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মমিনুল ইসলাম ভাসানী, ইউপি চেয়ারম্যান আকালু ডোঙ্গা ও তাঁতিলীগের সভাপতি সাদেকুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগের নেতারা।