প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ১০৬ রানের জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস থেমেছে ৩০৮ রানে। প্রথম ইনিংসে ২০২ রানের লিড নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কাইল ভেরাইন্নের সেঞ্চুরিতে এই সংগ্রহ পেয়েছে প্রোটিয়ারা।
ভেরেইনের ব্যাটে চড়ে বড় সংগ্রহ পেল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে তার সঙ্গে মুল্ডারের ১১৯ রানের জুটি বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে দিয়েছে বলা যায়।
মুল্ডার ১১২ বলে ৫৪ রান করে আউট হন। মুল্ডারের সঙ্গে জুটি ভাঙার পর পিডটের সঙ্গে ৬৬ রানের জুটি গড়েন ভেরেইন। শেষ দিকে ডেন পিডটের ৩২ রান প্রোটিয়াদের তিনশ পার করতে সাহায্য করে। মেহেদী হাসান মিরাজের অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজের বলে ভেরেইনকে স্টাম্পড করে প্রোটিয়া ইনিংসের সমাপ্তি টানেন লিটন দাস।
এদিকে ৬ উইকেটে ১৪০ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিলো দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম সেশনেই ২ উইকেট হারিয়ে ১০৩ রান যোগ করে প্রোটিয়ারা।
এর আগে প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও পিচে বেশ সুইং লক্ষ্য করা গেছে। দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু হওয়ার আগেও দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ক্রিকেটার শন পলক বলেছিলেন, দ্বিতীয় দিনেও সুইং পাবে স্পিনের পাশাপাশি পেসাররা। আর হয়েছেও তাই। তবে সুইং কাজে লাগাতে পারেনি তাইজুল-মিরাজরা।
প্রথম দিনে ৫ উইকেট নেয়া তাইজুল ইসলাম বলে সুইং পেলেও উইকেটের দেখা পাননি। সকালে পাওয়া দুইটি উইকেটই হাসান মাহমুদের নামে। ইনিংসের ৬৫তম ওভারের শেষ দুই বলে প্রথমে মুল্ডার আর তার পরের বলে কেশব মহারাজকে আউট করে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয় বাংলাদেশ।
কিন্তু নবম উইকেট জুটিতে ভেরেইনকে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছেন ড্যান পিডট। ৮৬ বলে ৩২ রানে ব্যাট করছেন তিনি। এই জুটিতে প্রোটিয়াদের স্কোরকার্ডে যোগ হয়েছে ৬৫ রান।