আত্রাই মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া ওয়ারিশ সেজে ভাতা উত্তোলন, এলাকায় সমালোচনার ঝড়

বিশেষ প্রতিনিধি: শিফাত মাহমুদ ফাহিম,

নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার, মনিয়ারি (০৬ নং) ইউনিয়নের খড়িপুকুর গ্রামের মরহুম আব্দুর রহমানের (মুক্তিযোদ্ধা) স্ত্রী মফেলা বেগম (মোরশেদা) অসাধ্যকে সাধন করে এলাকাবাসী সহ দেশবাসীকে অবাক বানিয়েছে।

অনুসন্ধান থেকে জানা যায়, মরহুম মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী দেওয়ান এর স্ত্রী সন্তান না থাকায় এই সুযোগ কৌশলে কাজে লাগিয়েছে তার আপন ভাই বৌ মফেলা বেগম।সে তার ভাইয়ের মেয়ে তথা ভাতিজি মোছাঃ মিনা বেগম (৪৫) কে মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী দেওয়ানের আপন মেয়ে সাজিয়ে ভাতা পাওয়ার জন্য আবেদন করেন সরকারের কাছে।সরকারের কিছু অসাধু কর্মকর্তা যাচাই-বাছাই ছড়ায় অনৈতিক সুবিধা নিয়ে তা বাস্তবায়ন করে দেয়।মুক্তিযোদ্ধার কথিত মেয়ে মিনা বেগম বৈবাহিক সূত্রে একই ইউনিয়নের মশকিপুর গ্রামের বাসিন্দা।

মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী মারা যাবার পর কয়েক বছর যাবৎ কাফেলা ও তার ভাতিজি রাষ্ট্রের সাথে প্রতারণা করে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা উত্তোলন থেকে শুরু করে সকল সুযোগ সুবিধা নিয়ে আসছেন।এ বিষয়টি সম্পর্কে মুঠোফোনে মিনা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি অপরপ্রান্ত থেকে বলেন, তিনি অশিক্ষিত মানুষ এত কিছু জানিনা।তবে যা কিছু করার মোর্শেদা (মফেলা) চাচী করেছে। শুধু তাই নয় যতবার ভাতা উত্তোলনের জন্য ব্যাংকে গিয়েছেন সাথে চাচী মোর্শেদা ছিলেন।সেই উত্তোলনকৃত টাকা বিভিন্ন অফিসে দেয়ার কথা বলে প্রায় সব টাকায় চাচি নিয়ে নিত প্রতিমাসে।

আপনি মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে না হয়েও ভাতা উত্তোলন করেছেন কেন?প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনি সত্যিই অন্যায় করেছেন চাচির পরামর্শে আর এজন্য তিনি অনুতপ্ত।অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, মরহুম মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী দেওয়ানের সহোদর জীবিত একমাত্র ভাই মোঃ জামশেদ আলী দেওয়ান প্রবাসী। তিনি দেশে এসে মুক্তিযোদ্ধা ভাইয়ের ওয়ারিশ দাবী করছেন।

বিষয়টি জানার জন্য মফেলা বেগম মোরশেদার বাড়িতে একাধিকবার গিয়েও বাড়ির গেটে তালা ঝুলানো দেখা যায়। মুঠোফোনে কল দিয়ে ও তাকে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলা হলে একাধিক বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি বলেন, তার স্বামী এবং ভাসুর আসলেই মুক্তিযোদ্ধা কিনা তাতেই তো সন্দেহ আছে।তারা যুদ্ধ করেছিলো আমরা কখনো এই কথা শুনিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *