ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি .মনসুর আহম্মেদ
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার ২নংকষারানীগঞ্জ ইউনিয়নে কামরাঙ্গা তুলি জামে মসজিদ যুগ যুগ ধরে এখানে নারী পুরুষের আগমন ঘটে।
শুধু নারী পুরুষ নয়, বয়স্ক বৃদ্ধ যুবক যুবতী বিভিন্ন বয়সের মানুষ মনের বাসনা পূরণের জন্য এই মসজিদে আসেন। অনেকেই নিয়ত করে মসজিদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা করেন।
কেউবা আবার আল্লাহর কাছে সন্তুষ্টি লাভের জন্য মনের বাসনা পূরণের লক্ষ্যে মসজিদের ভিতরে নফল নামাজ আদায় করে।
বিশেষ করে কামরাঙ্গা তলী জামে মসজিদের শুক্রবার দিনে বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন এলাকার মানুষ এসে, ছাগল মুরগি হাস কবুতর বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ত করে মসজিদে দান করে থাকেন।
এসব হাঁস-মুরগি কবুতর গরু ছাগলসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ডাকের মাধ্যমে কম বেশি দামে ক্রয় করে থাকেন ক্রেতারা।
মসজিদটি দুইতলা বিশিষ্ট, তিন তলা পর্যন্ত ভিত্তিপ্রস্থ করা আছে, মসজিদটিতে রয়েছে অজুখানা, রয়েছে নারী-পুরুষদের জন্য বাথরুম, গাড়ি রাখার জন্য মসজিদের সামনের বারান্দা।
মসজিদের প্রথম তলায় মুসল্লিদের কাতার ভর্তি পরিপূর্ণ জায়গা ,বিশেষ করে শুক্রবারে এই মসজিদে মুসল্লিদের আগমন ঘটে।
দ্বিতীয় তলায় মসজিদের নামাজের সুব্যবস্থা রয়েছে এবং তৃতীয় তলায় কাজ চলমান ।
মসজিদের সুষ্ঠু সুন্দর একটি কমিটি রয়েছে সুন্দর পরিবেশে মসজিদটি দীর্ঘদিন ধরে পরিচালিত হয়ে আসছে, যা এলাকার মানুষের কাছে এটি সুনাম ও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ।
কথা হয় অত্র মসজিদের ইমাম সাহেব মাওলানা হাফেজ মোহাম্মদ সেলিম সাহেবের সাথে, তিনি বলেন এই মসজিদে আমি দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ ইমামতি করে আসছি বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন মানুষ আসেন এই মসজিদে।
অনেকেরই মনের বাসনা পূর্ণ লক্ষে মসজিদে আসেন আল্লাহ তাআলা তাদের মনের বাসনা পূর্ণ করেন সঠিক এবং সহীহ নিয়তের মাধ্যমে দূর দূরান্তের মানুষ এই মসজিদে আসেন, এসে মান্নত করেন নামাজ পড়েন, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য।
কথা হয় ঘুয়া গ্রামের আজারুল ইসলামের সাথে, মসজিদ সম্পর্কে তার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি প্রতিদিন এই মসজিদে নামাজ পড়ি বিশেষ করে শুক্রবারে দূর দূরান্তের মানুষ আসেন, নামাজ আদায় করেন, তোবারক দেন, ছাগল গরু, মুরগি হাঁস, টাকা পয়সা দান করে থাকেন তাদের মনের বাসনা পূরণের লক্ষ্যে।
তবে আমার জন্মের আগে এই মসজিদ ছিল আমি জানিনা মসজিদটি কবে স্থাপিত হয়েছে। কে নির্মাণ করেছে কার মাধ্যমে মাধ্যমে এই মসজিদটি এখানে হয়েছে, আমি জানিনা কেউ জানে না, কবে হয়েছে। তাই, দূর দূরান্তের মানুষ এই মসজিদে আসেন অনেকেরই মনের বাসনা পূর্ণ হয় বলে শুনেছি।
ঠাকুরগাঁও শিবগঞ্জ থেকে মসজিদে নামাজ পড়তে আসা আমিনুল ইসলামের আমি জীবনের প্রথম এই মসজিদে নামাজ পড়লাম ভালো লেগেছে, মসজিদে অনেক মানুষ এসেছে খুব ভালো লাগলো নামাজ পড়ে।
মসজিদটি অত্র পীরগঞ্জ উপজেলার ২নংকষারানীগঞ্জ ইউনিয়নে ঘুঘুয়া মৌজায় অবস্থিত। মসজিদে বিভিন্ন জায়গা হতে নারী পুরুষ তাদের মনের আশা বা মনোভাব পূরণের লক্ষ্যে আসেন।নারী গুলো খুব ভোর হতেই মেঝে মুছা-মুছি করেন।আর পুরুষরা আসেন শুক্রবারের নামায আদায় করার জন্য।
কীটনাশক কোম্পানির কর্মরত লুৎফর রহমান জানান, আমি এই মসজিদে আমার মনের আশা পূরণের জন্য নামাজ পড়তে এসেছি। আমার অভাব অনটন আর্থিক সংকটে রয়েছি। আল্লাহর কাছে এই মসজিদে এসে চাইবো আল্লাহ যেন আমার এই অভাব অনটন দূর করে দেন,আমাকে যেন আর্থিক স্বচ্ছলতা দান করেন।
নামাজ শেষে মসজিদ কমিটি মসজিদের আয় ব্যয় নিয়ে কিছুক্ষণের জন্য ব্যস্ত সময় পার করেন।
দূর দুরন্ত থেকে আসা মুসল্লিরা শুক্রবারের নামাজ শেষ করে, আবার অনেকেই নফল নামাজ আদায় করে থাকেন।